রাত থেকে মৃতদেহ রাস্তায় রেখে অবরোধ : দাবী সঠিক তদন্তের

14th February 2021 10:09 am বাঁকুড়া
রাত থেকে মৃতদেহ রাস্তায় রেখে অবরোধ : দাবী সঠিক তদন্তের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  রাত থেকে মৃত দেহ রেখে পথ অবরোধ পরিবারের ও গ্রামবাসীদের। সঠিক তদন্তের দাবীতে পথ অবরোধ। বাঁকুড়ার সারেঙ্গার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার বিক্রমপুরের গ্রামের এক যুবক অরুনাভ দূলে এবং তার তিন বন্ধু চার চাকা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়, তারা মেদিনীপুর গিয়েছিল বলে পরিবারের দাবী। এরপর অরুনাভ দূলের পরিবারের লোক শুক্রবার গভীর রাতে খবর পান  শুক্রবার রাতে মেদিনীপুরের কতোয়ালী  থানার ধর্মা এলাকায় পথ দূর্ঘটনায় ঘটেছে   অরুনাভ দূলের। বাড়ির লোক সেখানে গিয়ে দেখেন অরুনাভ দূলে মৃত। এই ঘটনাকে নিছক পথ দূর্ঘটনা বলে মানতে নারাজ মৃতের পরিবার ও আত্মীয়রা। তাদের অভিযোগ, অরুনাভকে বাড়ি থেকে তিনজন ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। অথচ যখন দূর্ঘটনা ঘটে তখন সেই গাড়ীতে অরুনাভ একাই ছিল। বাকি তিন জন সেই সময় গাড়ীতে ছিল না, যার গাড়ী সেও গাড়ীতে ছিল না বলেই দাবী পরিবারের। পরিবার ও আত্মীয়দের আরো অভিযোগ, অরুনাভ এবং চার বন্ধু মিলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল, একজনের দূর্ঘটনা ঘটলো অথচ বাকি তিনজন তারপর থেকে নিখোঁজ হয়েগেল, তারা হাসপাতালে পর্যন্ত দেখতে যায়নি এমন কি দূর্ঘনার কথাও তারা পরিবারকে জানায় নি। পরিবারের অভিযোগ, চক্রান্ত করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যারা সেদিন অরুনাভর সাথে গিয়েছিল অবিলম্বে তাদেরকে পুলিশ তাদের নিয়ে আসুক প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটিত হোক। আর এই দাবীতে শনিবার সন্ধ্যা প্রায় ৭.৩০ মিনিট নাগাদ বাঁকুড়ার সারেঙ্গা বামুনডিহা রাস্তার উপর মৃতদেহ রেখে পথ অবরোধ করেন। ঘটনা স্থলে আসে সারেঙ্গা থানার পুলিশ, তারা তদন্তে পরিবারকে সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন কিন্তু পুলিশ ফিরে যায়। পরে অবশ্য মৃতদেহ রাস্তা থেকে সরিয়ে পাশে রাখা হয়।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।